রং তুলি হাতে দেওয়াল লিখনে তৃণমূল বিধায়ক : শুরু ভোট প্রচার

29th November 2020 2:33 pm বর্ধমান
রং তুলি হাতে দেওয়াল লিখনে তৃণমূল বিধায়ক : শুরু ভোট প্রচার


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : সোশাল মিডিয়ায় প্রচার বা ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচারের রমারমা থাকলেও ভোট মরশুমে দেওয়াল লিখনের মাধ‍্যমে প্রচারের বাড়তি গুরুত্ব । সমস্ত দল ই ভোটের ময়দানে মন জয় করতে সেই প্রাচীন রং তুলি হাতে দেওয়াল লিখনের উপরে বাড়তি নজর দেন । ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দিন ক্ষন ঘোষনার আগেই রং তুলি হাতে প্রচারে নেমে পড়লেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক । ঠান্ডা র আবহে দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিঠেকড়া রোদে দেওয়াল লিখনে বিধায়কের সাথে যোগ দিলেন এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও । পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান সদর ২ ব্লকের স্বস্তিপল্লী ও বাম এলাকায় রং তুলি হাতে আঁকলেন জোড়াফুল প্রতীক চিহ্ন । দল যাকেই প্রার্থী করুক না কেন ভোট হবে প্রতীকে এবং মমতা ব‍্যানার্জী র নামে । তাই প্রতীক এঁকেই শুরু হল ভোট প্রচার বলে জানিয়েছেন বিধায়ক নিশীথ মালিক । বিভিন্ন প্রচার , মিটিং , মিছিল এর পাশাপাশি দেওয়াল লিখন ভোটের সময় বাড়তি আকর্ষণ । বেশ কিছু সময় আগে থেকেই দেওয়াল দখল করে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল শিবিরের । বিধায়ককে পেয়ে খুশি কর্মীরাও । ধারাবাহিক প্রচার চলবে আরো নিবিড় ভাবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক । বিজেপি যত ই অপপ্রচার করুক না কেন তৃতীয় বারেল জন‍্য মুখ‍্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় তা স্পষ্ট বলে দাবী নিশীথ মালিকের । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।